ABOUT ছাদ বাগানের ড্রাগন গাছ

About ছাদ বাগানের ড্রাগন গাছ

About ছাদ বাগানের ড্রাগন গাছ

Blog Article

সুনিষ্কাশিত উঁচু ও মাঝারি উঁচু উর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে এবং ২-৩ টি চাষ দিয়ে ভালোভাবে মই দিতে হবে।

শীতের ফুল- গ্লাডিওলাস ফুল গাছের সম্পূর্ন পরিচর্যা

ড্রাগন ফল গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় , ১ বছরের একটি গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে। প্রাপ্ত গাছের ডাল ছাঁটাই করলে নতুন কান্ড গজাতে ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মূল কান্ড ও শাখা কান্ড রেখে পার্শ্ব ও মাটি অভিমুখী ডালগুলি ছেঁটে দিতে হবে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও জড়িয়ে যাওয়া ডালগুলো কেটে ফেলতে হবে। রোপণের দ্বিতীয় বর্ষে প্রথম ছাঁটাই করতে হবে। ছাঁটাইয়ের পর অবশ্যই কাঁটা স্থানে যেকোনো ছত্রাকনাশক লাগিয়ে দিতে হবে।

খেতে যেমন সুস্বাদু ও টেস্টে তেমনি ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ রয়েছে অসংখ্য। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ কমলা ও গাজরের চেয়েও অনেক বেশি। দেহের ‍সুস্থ্যতার জন্য ড্রাগনে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালরি যা ডায়েটের সময় বেশ উপকারক একটি ফল।

ফলটা আসলে কী? ড্রাগন ফ্রুট বা ড্রাগন ফল একধরনের ক্যাকটাসগাছের ফল। এ ফলের অন্য নাম পিটাইয়া। চীনে এই ফলের নাম হুয়ো লং গুয়ো, ভিয়েতনামে থানহ লং। ড্রাগন ফলের জন্ম মধ্য আমেরিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার মালয়েশিয়ায় ফলটি প্রবর্তিত হয় বিংশ শতাব্দীর দিকে। বর্তমানে ভিয়েতনামে ফলটি বেশি চাষ হচ্ছে। ভিয়েতনাম ছাড়াও তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, চীন, ইসরাইল, অস্ট্রেলিয়াতেও চাষ হচ্ছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম ড্রাগন ফলের গাছ নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারে প্রফেসর ড.

কখনোই এর বৃদ্ধির সময় ব্যতীত কোন রাসায়নিক সার প্রয়োগ করবেন না এতে করে বিপদ হতে পারে। যেমন গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সঠিক পরিমাণে ও সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।

[আরও পড়ুন: more info টবে চেরি ফল গাছ যে ভাবে প্রতিস্থাপন এবং পরিচর্যা করবেন]

আমাদের মানব শরীরের জন্য লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। এমনিতে ড্রাগন মোটামোটি কয়েক রঙ্গের হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে বর্তমানে বেশি দেখা যায লাল ড্রাগন এবং সাদা/গ্রে কালারের। কিন্তু লাল ড্রাগনের কিছু অতিরিক্ত উপকারিতা রয়েছে। উদাহরণসরূপ লাল ড্রাগন খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, শ্বাস প্রশ্বাস ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারিতাসহ ওজন হ্রাস করা, হৃৎপিন্ড ভালো রাখা, হজমে সহায়তা করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি হলো লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা।

হলুদ পাতা : ম্যাগনেসিয়ামের এর অভাবে মানি প্ল্যান্ট গাছের পাতায় হালকা হলুদ, পাতায় গাড় দাগ সৃষ্টি হয়।

যেভাবে কোয়েল পালন করলে বেশি লাভবান হবেন

ক্যাকটেসি পরিবারের অন্তর্গত ড্রাগন ফলের উৎস দক্ষিণ মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায়, এটি সেই দেশের জনপ্রিয় ফল। অন্যান্য ক্যাকটাস জাতীয় ফসলের মতো ড্রাগন গাছের উৎপত্তি মরু অঞ্চলে নয়, বরং এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত সমৃদ্ধ স্থানে। তাই গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য গড় ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং বাৎসরিক ৫০০ থেকে ১০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন হয় ।

বীজের মাধ্যমে অথবা অঙ্গজ পদ্ধতির মাধ্যমে ড্রাগন গাছের বংশবিস্তার করা হয়। তবে মাতৃ গুনাগুণ বজাই রাখার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতি মাধ্যমে বংশবিস্তার করা উচিত, অর্থাৎ কাটিং প্রদ্ধতিরর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করাই ভালো। ড্রাগন গাছের কাটিং এর সফলতার হার প্রায় ৯৯ শতাংশ এবং তাড়াতাড়ি ফলও ধরে। কাটিং থেকে গাছ তৈরী হতে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগে, তারপরে গাছ ফল দেওয়ার উপযোগী হয়। সাধারণত বয়স্ক এবং শক্ত শাখার নিচের অংশ ৮ ইঞ্চি কেটে হালকা ছাঁয়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে অথবা বালিতে কাটা অংশে রুট হরমোন লাগিয়ে পুতে দিতে হয়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। তখন এটা প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত হবে।

মানিপ্ল্যান্ট গাছগুলি ধারাবাহিকভাবে আর্দ্রতা রাখতে পছন্দ করে, তবে জলাবদ্ধ নয়। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জল দিন এবং জল দেওয়ার মধ্যে মাটি কিছুটা শুকিয়ে যেতে দিন। অতিরিক্ত জল দিলে শিকড় পচে যেতে পারে। সুতরাং, জল দেওয়ার সময়ের মধ্যে মাটি শুকাতে দিন। গরম কালে ঘন ঘন জল দিন ( ৩-৫ দিন পর পর) আর শীতকালে সপ্তাহে ১ দিন জল দিন।

Report this page